বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়নের চামটা ছিটকীগাড়ী গ্রামে বিবাদমান একটি জমিকে কেন্দ্র করে মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদে বিব্রত হয়েছেন বাদী। এই বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণেদিত সংবাদ ও পোস্ট ফেসবুকে প্রচার করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী।

বুধবার সন্ধ্যায় বাদী সুনীল গোমেজ তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে সুনীল গোমেজ জানান, চামটা মৌজার খতিয়ান নং ১৭৪ ও দাগ নং ৪৫৭১ জমিটি অযাচিত ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একই এলাকার মৃত গোলাপ গোমেজের ছেলে লিটন গোমেজ (৪০) জবরদখল করার চেষ্টা করে।

এ ব্যাপারে সুনীল গোমেজ বাদী হয়ে নাটোর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করলে মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত বাদীর জমি জোরপূর্বক বেদখল না করার বিষয়ে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারী করে। আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিবাদী লিটন গোমেজ জোরপূর্বক বাদীর জমিতে গাছ লাগায়।

এ জবরদখলের ঘটনায় বাদী সুনীল গোমেজ বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরবর্তীতে আদালতের প্রতি সম্মান রক্ষার্থে বাদী কৃষি শ্রমিককে দিয়ে গাছগুলো তুলে অন্যত্র রোপনের জন্য বিবাদীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। অথচ এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণেদিত ভাবে ভিন্ন খাতে নেওয়ার উদ্দেশ্যে একজন সংবাদ কর্মীকে দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে ও তা ফেসবুকে পোস্ট করে।

যা রীতিমতো বাদীকে বিব্রত করেছে এবং সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। বাদী সুনীল গোমেজ এ মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানানোর পাশাপাশি আদালত অবমাননার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত কস্তা, রতন পালমা,

আশীষ রোজারিও, এলিয়াস গোমেজ সহ সচেতন গ্রামবাসী। বড়াইগ্রাম থানার এএসআই এনামুল হক জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিটন গোমেজকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা অনুসন্ধানে জানতে পারে, বিবাদী লিটন গোমেজ তার মামী ইভা হালদার দুদকে চাকরী করার পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে জোনাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে ইভা হালদারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লিটন গোমেজ আমার স্বামীর ভাগিনা। ওই ভাগিনার সাথে আমার কোন যোগাযোগ নাই।